স্টাফ রিপোর্টার : যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষিত যুবকদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে পুঁজির যোগান দিতে ঋণ সহায়তা দেবে এনআরবিসি ব্যাংক। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও এনআরবিসি ব্যাংক।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল’র উপস্থিততে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান ও এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়া নিজ নিজ পক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন ও এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল।

এ চুক্তির মাধ্যমে অধিকসংখ্যক যুবদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আত্মকর্মী ও উদ্যোক্তা ঋণ হিসেবে যুবদের মাঝে ৪ শতাংশ হতে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ হার সুদে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন। উদ্যোক্তা হতে নারী, তৃতীয় লিঙ্গ এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. রুহুল আমিন বলেন, যুবকদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন তারা চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই চাকরিদাতা হতে পারেন।

তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। তাদেরকে সহজে ঋণ দিতে বিশেষ স্কীম গঠন করেছে। এনআরবিসি ব্যাংক যে উদ্যোগ নিয়েছে এতে যুবকদের জন্য অনেক সহায়ক হবে। অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ ধরনের উদ্যোগ নেবে এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আজকের উদ্যোগ নারী ক্ষমতায়ন ও যুব সমাজের সার্বিক কর্মসংস্থান সুগম করতে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে নিঃসন্দেহে।

তিনি যুবসমাজকে সরকার প্রদত্ত এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত ভিশন-২০৪১ এর আলোকে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানান।

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এনআরবিসি ব্যাংক সূচনালগ্ন থেকেই উদ্যমী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ ব্যাংকের শাখা সকল জেলা ও উপজেলায় বিস্তৃতি লাভ করছে।

সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক (গ্রেড -১) মো. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, যুববান্ধব এ সমঝোতা স্মারকটির মাধ্যমে কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়ক হবে। এটি তাদের প্রকল্প ও খামার সম্প্রসারণে তাদেরকে উদ্যমী করে তুলবে। যুব কর্মচাঞ্চল্যের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহুরে এলাকার যুবদের মাঝে কর্মবলয়ের সৃষ্টি হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্যায়ে দুই বছরের জন্য চুক্তির মেয়াদ বহাল থাকলেও পরবর্তীতে উভয় পক্ষের সম্মতিতে মেয়াদ বৃদ্ধির সুযোগ রাখা হয়েছে এ চুক্তিতে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে অধিদপ্তরের পরিচালক (দাঃবিঃ ও ঋণ) একেএম মফিজুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রধান চালিকাশক্তি যুব সমাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে তাদের প্রয়োজন মাফিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা সকলের নিকট পৌঁছানো সম্ভবপর হয়না। কেউ কেউ ১০/১২ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হন।