সিনিয়র রিপোর্টার : সংশোধন শেষে উত্থানের আভাস নিয়ে নুতন করে ভিত্তি গড়ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক। একই সঙ্গে লেনদেনও সামান্য বেড়েছে। তবে মিশ্র প্রক্রিয়া উত্থানের ধারার গোড়া পত্তন করছে পুঁজিবাজার। তবে সম্ভাবনার সাপোর্ট লেবেল ভেঙ্গে আরো উপরে ওঠার আভাস মিলছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনে খানিকটা ভাটার টান থাকলেও মূল্য সূচক ডিএসইএক্স রোববারের (৯ জানুয়ারি) তুলনায় সোমবার (১০ জানুয়ারি) সামান্য বেড়ে হয়েছে ৬৯৯৪ পয়েন্ট।

প্রতি কার্যদিবসে বাড়ছে। তবে সূচকের বৃদ্ধি কী ইঙ্গিত দেয় বা আবার পিই রেশিও বা মূল্য আয় অনুপাত কী আভাস দিচ্ছে? মোট কথা হলো—দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রয়েছে ৩৪৪টি। এর মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্সে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৩০৯টি কোম্পানি। বাকি ৩৫টি কোম্পানি এখনো সূচক গণনার হিসাবের বাইরে রয়েছে।

ডিএসইএক্সে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানির লেনদেনযোগ্য শেয়ার যত বেশি, সূচকে তার প্রভাবও তত বেশি। এসব কোম্পানির বেশিরভাগই ফান্ডামেন্টাল। প্রথম সারির কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনের ওপর নির্ভর করছে ডিএসইএক্স বৃদ্ধি-কমার অনুপাত।

বাজার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর ডিএসইর ডিএসইএক্স ছিল ৭৩৫৮। এর পরে লেনদেন কমে আসতে থাকলে সূচক পড়তে থাকে এবং ২৫ অক্টোবর, ২০২১ অবস্থান নেয় ৬৯০৪ পয়েন্টে। এরপরে বিনিয়োগকারীর চাপা ক্ষোভ এবং হতাশা আরো বাড়তে থাকে। শেয়ার লেনদেন কমতে থাকায় টাকার পরিমাণ কমতে থাকে। এ সময়ে ডিএসইএক্সে অন্তর্ভুক্ত ৩০৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ছিল তলানিতে। একই সঙ্গে এসব কোম্পানির পিই ছিল ৪০ –এর নিচে।

বিভিন্ন পরিক্রমা শেষে ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ডিএসইএক্স দাঁড়ায় ৭০৭০ পয়েন্টে। এরপরে হতাশা তীব্র হতাশা ও ক্ষোভে ভেঙ্গে পড়েন অনেক বিনিয়োগকারী। কিন্তু অতীতে সূচকের সর্বোচ্চ রেকর্ড ভুলে তারা শেয়ার লেনদেন কমিয়ে ফেলেন। হতাশার ভেতরে অল্প করে ছেড়ে দেয়া শেয়ার পুঞ্জীভূত করে করপোরেট বিনিয়োগকারীরা। এখন যা লেনদেন হচ্ছে, তা সেরা কোম্পানিরগুলোর। সব শেষে বছরের শেষে ২৭ ডিসেম্বর ৬৬৩৮ পয়েন্ট থেকে উত্থানের আভাস দিয়ে ঊর্ধ্বমূখী হতে থাকে।

উড়ছে তো বেশ, তবে সাপোর্ট লেবেল কত? তা হলো—৭০৭৫ পয়েন্ট। ২০২১ সালের যা ১৮ নভেম্বর ছিল। সাপের্ট লেবেল স্পর্ষের আগে গতি সামান্য শ্লথ হতে পারে। কারণ অনেক কোম্পানির পিই ৪০। এরপরে সম্ভাবনার নতুন সূচকের দিকে অবস্থান নেবে ডিএসইএক্স।