স্টাফ রিপোর্টার : জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলনে শেয়ারপ্রতি দর নির্ধারণে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শেয়ারপ্রতি দর নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা। এই নিলাম প্রশ্নবিদ্ধ।

দর নির্ধারণের কয়েক মিনিটের মধ্যে শেয়ার শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনার পর বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গত ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত জেএমআই হসপিটালের বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই বিডিং শুরু হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।

ডিএসইর পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, কোম্পানিটির নিলাম সম্পর্কিত বিষয় আলোচনায় আসার পর ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।

ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আইনকানুন ও ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) সফটওয়্যারের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে জানিয়েছে, বর্তমান বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিং বা নিলামে শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য কত হবে, তা নিলামের আগেই নির্ধারণ করা যায়।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট অফ প্রাইসে যদি যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত কোটার তুলনায় আবেদন বেশি হয়, তাহলে টাইম স্টাম্পিংয়ের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়।

জেএমআই হসপিটালের বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এই টাকার শেয়ার পেতে ৩৮৫ যোগ্য বিনিয়োগকারী ১৩৯ কোটি ৭৯ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকার দর প্রস্তাব করেন। বিডিং শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বেশি শেয়ার কেনার প্রস্তাব জমা হওয়ায় এই সময়ের পর আবেদনকারীদের কেউ শেয়ার পাননি।

বিডিং শেষ হওয়ার পর ব্যাংক রিকনসিলিয়েশন পাওয়ার পর কাট অফ প্রাইস ডিসকভারি করার সময় বিডিং সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিটি বিডিং ইএসএসের মাধ্যমে অত্যন্ত সতর্কতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনা করা হয় বলে জানানো হয়। এই সফটওয়্যার চালুর পর ডিএসই ৬৭টি কোম্পানির বিডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিটি বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়। পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। উত্তোলন করা টাকায় কোম্পানিটি জমি কেনা, ভবন তৈরি, মেশিনারিজ কেনা ও ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করবে।